ডিজিট ইন্স্যুরেন্সে স্যুইচ করুন

ভারতে স্টুডেন্ট পাসপোর্টের জন্য কীভাবে আবেদন করবেন?

(সূত্র: path2usa)

আপনি কি একজন ছাত্র বিদেশে পড়াশোনা করার পরিকল্পনা করছেন?

হ্যাঁ হলে, আর্থিক পরিকল্পনা করা ছাড়াও আপনাকে নিজের ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। এর মধ্যে আছে স্টুডেন্ট পাসপোর্ট নেওয়া এবং ভিসা প্রস্তুত করা।

আপনার কাছে এই নথিগুলি না থাকলে, অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিশদের পাশাপাশি মধ্যে স্টুডেন্ট পাসপোর্টের আবেদন, ডকুমেন্টেশন এবং যোগ্যতা সম্পর্কে জানার জন্য পড়তে থাকুন।

ভারতে স্টুডেন্ট পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ

  • ধাপ 2: নিকটতম পাসপোর্ট অফিসে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময় নির্ধারণ করুন এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র জোগাড় করুন।
  • ধাপ 3: নির্ধারিত তারিখে পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে যান এবং যাচাই প্রক্রিয়া চলাকালীন স্ব-প্রত্যয়িত নথি প্রদান করুন।
  • ধাপ 4: স্বীকৃতি রসিদ সংগ্রহ করুন এবং আপডেট জানার জন্য আবেদনের স্থিতি পরীক্ষা করুন।

স্টুডেন্ট পাসপোর্টের জন্য কি কি নথি প্রয়োজন?

ছাত্ররা নিজ উদ্দেশ্য সাপেক্ষে একটি সাধারণ বা তৎকাল পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারে। 

এর জন্য প্রয়োজনীয় নথির মধ্যে আছে-

 

1. ঠিকানার প্রমাণ (বর্তমান বাসস্থান)

  • আধার কার্ড

  • সর্বশেষ টেলিফোন বিল 

  • অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে, পিতামাতার পাসপোর্টের কপি (প্রথম এবং শেষ পৃষ্ঠা)

  • স্বনামধন্য নিয়োগকর্তা দ্বারা ইস্যু করা শংসাপত্র

  • ভোটার আইডি কার্ড

  • আয় কর মূল্যায়ন অর্ডার

  • সর্বশেষ ব্যবহৃত বিল, যেমন বিদ্যুৎ-এর বা জলের

  • কোনও সক্রিয় ব্যাংক অ্যাকাউন্টের পাসবুকের ফটোকপি 

  • ভাড়ার চুক্তিপত্র

2. জন্ম তারিখের প্রমাণ

  • জন্ম শংসাপত্র

  • স্টুডেন্ট পাসপোর্টের জন্য মাধ্যমিক বিদ্যালয় পাশের শংসাপত্র প্রয়োজন। একটি স্বীকৃত বোর্ড বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই শংসাপত্র জারি করা উচিত।

  • ইস্যুকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী পড়াশোনা করেছেন তার প্রমাণস্বরূপ পরিচয়পত্রের কপি।

  • বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ থেকে ইস্যু করা নির্ভরযোগ্য শংসাপত্র।

 

মূল নথি অনুপলব্ধ হলে, আপনি বৈধ কারণ দর্শিয়ে একটি শংসাপত্র বা চিঠি জমা দিতে পারেন। এছাড়াও, স্টুডেন্ট পাসপোর্টের আবেদনের সাথে কোনও প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক প্রত্যয়িত নথির ফটোকপি জমা দেওয়া যেতে পারে।

একটি স্টুডেন্ট পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় ফি কত?

এই পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য ₹1500 দিতে হবে। এর জন্য দাপ্তরিক পাসপোর্ট সেবা ওয়েবসাইটে অনলাইনে অর্থপ্রদান করতে হবে।

অর্থপ্রদান করা হলে স্টুডেন্ট পাসপোর্ট যাচাইকরণের জন্য নিকটতম পাসপোর্ট অফিসে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং পাওয়া যাবে।

এখানে উপলব্ধ কিছু পেমেন্ট মোডের কথা জানানো হল  -

  • ডেবিট কার্ড

  • ইন্টারনেট ব্যাংকিং

  • ক্রেডিট কার্ড

  • এসবিআই (SBI) চালান

এছাড়াও, কেউ অনলাইনে চালান তৈরি করে নিকটতম SBI শাখায় গিয়ে অর্থপ্রদান করতে পারে।

 

কারা স্টুডেন্ট পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারেন?

ভারতে স্টুডেন্ট পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার যোগ্যতার জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত শর্তাবলী পূরণ করতে হবে -

  • 18 বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীরা প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে বিবেচিত হবে। তাদের প্রয়োজনীয় নথিগুলি স্ব-সত্যায়িত হতে হবে।

  • অপ্রাপ্তবয়স্ক আবেদনকারীর ক্ষেত্রে পিতামাতা নথিগুলি সত্যায়িত করতে পারেন।

  • অপ্রাপ্তবয়স্করা 18 বছর না হওয়া পর্যন্ত নন-ইসিআর (non-ECR) পাওয়ার যোগ্য।

  • শিক্ষার্থীরা নিজেদের পিতামাতার বর্তমান ঠিকানার প্রমাণ জমা দিতে পারে।

মনে রাখবেন একজন নাবালক আবেদনকারীর জন্য, পিতামাতার সম্মতি বাধ্যতামূলক।

যোগ্য আবেদনকারীদের যাচাইকরণের জন্য দাপ্তরিক কাগজপত্র জমা দিতে হবে। আমরা একটি স্টুডেন্ট পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় নথি তালিকাভুক্ত করেছি।

 

একটি স্টুডেন্ট পাসপোর্ট পেতে কত সময় লাগে

আপনার জানা উচিত পাসপোর্ট ইস্যু করার পুরো প্রক্রিয়ায় 25 থেকে 30 দিন সময় লাগতে পারে। তাই তাড়াতাড়ি আবেদন করা অপরিহার্য।

ইস্যু হওয়ার দিন থেকে এই পাসপোর্ট দশ বছরের জন্য বৈধ। যাইহোক, বর্তমান পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর আগে অবধি আপনি পাসপোর্ট পুনর্নবীকরণ করতে পারবেন না।

আপনি কোনও বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য আবেদন করে থাকলে, স্টুডেন্ট পাসপোর্টের প্রয়োজনীয়তা জানা অপরিহার্য। এটি আপনার পুরো প্রক্রিয়া সহজতর করতে সহায়তা করবে।

তাছাড়া, আপনি খুব তাড়াতাড়ি পাসপোর্ট পেতে পারবেন।

ভারতীয় স্টুডেন্ট পাসপোর্ট সম্পর্কে প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

স্টুডেন্ট পাসপোর্ট বৈধতার জন্য আমার 12 ক্লাসের মার্কশিট জমা দিতে হবে?

হ্যাঁ, কলেজ স্টুডেন্ট পাসপোর্টের বৈধতার জন্য প্রয়োজনীয় নথির মধ্যে আপনাকে 12 ক্লাসের মার্কশিট জমা দিতে হবে।

কত দ্রুত স্টুডেন্ট পাসপোর্ট পাওয়া যেতে পারে?

সাধারণত স্টুডেন্ট পাসপোর্ট প্রক্রিয়াকরণে সময় লাগে 25 থেকে 30 দিন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে পাসপোর্ট অফিসের ওপর।

একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক আবেদনকারীর নথি কে সত্যায়িত করতে পারে?

অপ্রাপ্তবয়স্ক আবেদনকারীর ক্ষেত্রে, বাবা মা তাদের তরফে নথি সত্যায়িত করতে পারেন।