1. রুম রেন্ট ওয়েভার
একটি সাধারণ হেলথ ইন্স্যুরেন্স পলিসিতে, হাসপাতালের রুমের ভাড়ায় নির্দিষ্ট সীমা থাকে। আপনি যখন এই ধরনের হেলথ ইন্স্যুরেন্স পলিসিগুলিতে রুম রেন্ট ওয়েভার যোগ করেন, তখন তা রুমের ভাড়ার সীমা বাড়িয়ে দেয় অথবা তার কোনও সীমা থাকে না।
কোনও সীমা না থাকলে, রুমের ভাড়া ইন্স্যুরেন্সের অর্থ পরিমাণের সমানও হতে পারে। যদি আপনি কোনও মেট্রো শহরের হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকেন, তাহলে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ হেলথ ইন্স্যুরেন্স রাইডার, কারণ সেখানের হাসপাতালগুলিতে রুমের ভাড়া তুলনামূলক ভাবে বেশি হয়।
যেমন, আপনার সাধারণ হেলথ ইন্স্যুরেন্স পলিসিতে রুমের ভাড়ার সীমা প্রতি দিন 1500 টাকা। কিন্তু আপনি দেখলেন যে, আপনি যে-হাসপাতালে ভর্তি হতে চাইছেন, সেখানকার রুমের ভাড়ার ক্ষেত্রে এটি যথেষ্ট নয়। তখন আপনি রুম রেন্ট ওয়েভার অ্যাড-অন নিয়ে সেই উপসীমাকে প্রতি দিন 4000 টাকায় বাড়িয়ে নিলেন।
2. ম্যাটার্নিটি কভার
ম্যাটার্নিটি কভারে আপনি গর্ভাবস্থা ও প্রসব সংক্রান্ত সব খরচের কভার পাবেন। কিছু ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ম্যাটার্নিটি কভারে পলিসির মেয়াদের সীমা পর্যন্ত বা শিশুর জন্মের পরে 3 মাস পর্যন্ত শিশুর খরচের জন্য কভার প্রদান করে।
3. হসপিটাল ক্যাশ কভার
এই হেলথ ইন্স্যুরেন্স রাইডারে আপনি যে-সময়কালে হাসপাতালে ভর্তি থাকেন, সেই সময়ের জন্য ইন্স্যুরেন্স প্রদানকারী আপনাকে দৈনিক নগদ ভাতা প্রদান করে। এই ভাতা পাওয়ার জন্য ইন্স্যুরেন্স করানো ব্যক্তিকে 24 ঘণ্টা বা 1 দিনের থেকে বেশি সময়ের জন্য হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়।
এটি হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন লস অফ পে-এর ক্ষতিপূরণ হিসাবে দেওয়া হয় এবং এটিকে যাতায়াত, খাবার ইত্যাদি প্রয়োজনীয় খরচের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
4. ক্রিটিকাল ইলনেস কভার
এই অ্যাড-অনে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলি ইন্স্যুরেন্স করানো ব্যক্তিকে চিকিৎসার সামগ্রিক খরচ নির্বিশেষে এককালীন বড় অঙ্কের রাশি প্রদান করে, যদি তাঁর যে-কোনও গুরুতর অসুখ হয়ে থাকে।
মনে করুন, আপনার একটি হেলথ ইন্স্যুরেন্স পলিসি আছে, যেটির ইন্স্যুরেন্সের অর্থ পরিমাণ 5 লক্ষ টাকা। এটি ছাড়াও আপনি একটি ক্রিটিকাল ইলনেস কভার নিতে চাইলেন, সেটির ইন্স্যুরেন্সের অর্থ পরিমাণ 15 লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
আপনার যদি ক্যান্সার হয়ে থাকে এবং আপনি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কাছে ক্লেম করেন, তাহলে আপনার চিকিৎসার মোট খরচ 9.5 লক্ষ হলেও কোম্পানি তখনই আপনাকে 15 লক্ষ টাকা দেবে।
5. পার্সোনাল অ্যাক্সিডেন্ট কভার
কোনও অ্যাক্সিডেন্টের কারণে ইন্স্যুরেন্স করানো ব্যক্তির হওয়া ক্ষতির জন্য এই অ্যাড-অন আর্থিক কভারেজ দেয়। এই ক্ষতিগুলির মধ্যে রয়েছে আংশিক অক্ষমতা, স্থায়ী অক্ষমতা, মৃত্যু ইত্যাদি।
অ্যাক্সিডেন্টের ফলে মৃত্যুর ক্ষেত্রে ইন্স্যুরেন্স করানো ব্যক্তির পরিবার এই অ্যাড-অনে এককালীন বড় অঙ্কের টাকা পান।
6. জোন আপগ্রেড
জোন আপগ্রেডের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন শহুরে অঞ্চলে চিকিৎসার জন্য অধিকতর আর্থিক কভারেজ পেতে পারেন। অঞ্চলগুলিকে শহরের চিকিৎসার খরচের ভিত্তিতে ভাগ করা হয়েছে। যে-অঞ্চলে চিকিৎসার খরচ যত বেশি, সেটির স্থান তত উপরে।
সামান্য বেশি প্রিমিয়ামের বদলে এই অ্যাড-অনটি আপনাকে বিভিন্ন অঞ্চল বা এলাকায় চিকিৎসার খরচের বৈষম্য সামলাতে সাহায্য করে। তবে, পরবর্তীকালে এটি আপনার মোট প্রিমিয়ামের 10%-20% বাঁচিয়েও দেয়।
ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল:
· জোন A - দিল্লি/এনসিআর (NCR), মুম্বই (নবি মুম্বই, ঠাণে ও কল্যাণ অন্তর্ভুক্ত)
· জোন B - হায়দরাবাদ, সেকন্দ্রাবাদ, বেঙ্গালুরু, কলকাতা, আহমেদাবাদ, বরোদা, চেন্নাই, পুণে ও সুরত
· জোন C - A ও B জোনের শহরগুলি ছাড়া বাকি সব শহর জোন C-র অন্তর্ভুক্ত
বর্তমানে ডিজিটে আমাদের দু’টি জোন আছে: জোন এ (গ্রেটার হায়দ্রাবাদ, দিল্লি এনসিআর, গ্রেটার মুম্বাই) এবং জোন বি (অন্যান্য সব স্থান)। আপনি যদি জোন বি-তে থাকেন তাহলে প্রিমিয়ামে অতিরিক্ত ছাড় পাবেন। শুধু তাই নয়, আমাদের কোনো জোনভিত্তিক কো-পেমেন্টও নেই।