ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স পলিসি কিনুন অনলাইনে
Premium Starting ₹225 only*

ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ভিসামুক্ত দেশ

ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ভিসামুক্ত দেশ

কোনও আন্তর্জাতিক ভ্রমণ পরিকল্পনা করার সময়, আমাদের প্রথম চিন্তা ভিসার আবেদন করতে হবে। আপনি যেখানে যেতে চান সেই দেশের জটিল ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার মাধ্যম খোঁজার জন্য অনলাইনে সময় কাটাতে হবে।

কিন্তু, আপনি কি জানেন বেশ কয়েকটি দেশে ভারতীয়দের জন্য ভিসার প্রয়োজন হয় না এবং কয়েকটি দেশে আপনি ভিসা-অন-অ্যারাইভাল পেতে পারেন?

হ্যাঁ, একদম ঠিক!

হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স‌ পাসপোর্ট ইনডেক্স অনুযায়ী, 2023 সালের মার্চ পর্যন্ত ভারতীয় পাসপোর্টধারীরা একাধিক দেশে ভিসা ছাড়াই বা ভিসা-অন-অ্যারাইভাল ভ্রমণের সুযোগ নিতে পারেন। নিচের তালিকায় উল্লিখিত দেশগুলিতে ই-ভিসা/ এন্ট্রি পারমিটের সাহায্যে ভ্রমণ করতে পারেন। বর্তমানে স্বাধীন ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভারতীয় পাসপোর্ট 84তম স্থান অধিকার করে।

কিন্তু কোন কোন দেশে ভারতীয় পাসপোর্টধারীরা ভিসামুক্ত ভ্রমণ করতে পারেন? নিচের তালিকা দেখুন!

2023 সালে ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ভিসামুক্ত দেশের তালিকা

জেনে নিন কোন দেশে ভারতীয়রা ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারবেন:

1. আলবানিয়া 15. মাইক্রোনেশিয়া
2. বার্বাডোজ 16. মন্টসেরাট
3. ভুটান 17. নেপাল
4. দ্বীপপুঞ্জ 18. নিউয়ে
5. দ্বীপপুঞ্জ 19. ওমান
6. ডোমিনিকা 20. কাতার
7. সালভাদোর 21. সেনেগাল
8. ফিজি 22. নেভিস
9. গ্রেনাডা 23. গ্রেনাডাইনস
10. হাইতি 24. শ্রীলঙ্কা
11. জামাইকা 25. টোবাগো
12. কাজাখস্তান 26. তিউনিশিয়া
13. চায়না) 27. থাইল্যান্ড
14. মরিশাস 28. ভানাতু

2023 সালে ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ভিসা-অন-অ্যারাইভাল/ ই-ভিসা দেশের তালিকা

সাধারণত, ভিসা-অন-অ্যারাইভাল পাওয়ার জন্য, অভিবাসন কর্মকর্তারা পর্যটকের পাসপোর্ট, বায়োমেট্রিক্স পরীক্ষা করে, নির্ধারিত অর্থ সংগ্রহ করে ভিসার অনুমতি প্রদান করেন। বিভিন্ন দেশে প্রবেশের প্রধান স্থানগুলিতে অন-অ্যারাইভাল ভিসা ইস্যু করা হয়, তাই নির্দিষ্ট দেশে পৌঁছানোর সময় আপনাকে জেনে রাখতে হবে ভিসা কোথায় ইস্যু করা হয়।

2014 সালে ভারতীয়দের জন্য ইলেক্ট্রনিক ট্রাভেল অথোরাইজেশন (ETA) সুবিধা কার্যকর করা হয়েছিল, পরে 2015 সালে যোগ্য দেশগুলির একটি সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করা হয়। নীচের তালিকায় আমরা 2023 সালে ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ভিসা-অন-অ্যারাইভাল এবং ই-ভিসা প্রদানকারী দেশগুলির কথা উল্লেখ করেছি:

29. বলিভিয়া 45. মরিটেনিয়া
30. বতসোয়ানা 46. মোজাম্বিক
31. বুরুন্ডি 47. মায়ানমার
32. কম্বোডিয়া 48. পালাউ দ্বীপপুঞ্জ
33. কেপ ভার্দে দ্বীপপুঞ্জ 49. রুয়ান্ডা
34. কমোরো দ্বীপপুঞ্জ 50. সামোয়া
35. ইথিওপিয়া 51. সেশেলস
36. গ্যাবন 52. সিয়েরা লিওন
37. গিনি-বিসাউ 53. সোমালিয়া
38. ইন্দোনেশিয়া 54. সেন্ট লুসিয়া
39. ইরান 55. তানজানিয়া
40. জর্ডন 56. টিমোর- লেস্টে
41. লাওস 57. টোগো
42. মাদাগাস্কার 58. টুভালু
43. মালদ্বীপ 59. উগান্ডা
44. মার্শাল আইল্যান্ড 60. জিম্বাবোয়ে

ভারতীয় পাসপোর্টধারীদের ই-ভিসা সুবিধা প্রদানকারী দেশের তালিকা

61. অ্যাঙ্গোলা

74. মালয়েশিয়া

62. অ্যান্টিগুয়া এবং বার্বুডা

75. মলডোভা

63. অস্ট্রেলিয়া

76. মরক্কো

64. আজারবাইজান

77. রাশিয়া

65. বাহরাইন

78. সাও টোমে এবং প্রিনসিপে

66. বেনিন

79. সিঙ্গাপুর

67. কলম্বিয়া

80. সুরিনাম

68. জিবুতি

81. তাইওয়ান

69. জর্জিয়া

82. তাজাকিস্তান

70. কেনিয়া

83. টার্কে‌

71. কুয়েত

84. উজবেকিস্তান

72. কিরগিজস্তান

85. ভিয়েতনাম

73. লেসোথো

86. জাম্বিয়া

আপনি কি ধরনের ভিসা পেতে পারেন?

ভিসা মূলত কি?

বিদেশী পর্যটকদের সংশ্লিষ্ট দেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য সরকার কর্তৃক ইস্যু করা নথিই ভিসা। আপনার নিজ দেশের প্রমাণ হিসাবে কার্যকরী পাসপোর্টের সাপেক্ষে, ভিসায় উল্লিখিত সময়ের জন্য আপনাকে বিদেশে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে।

এখন বিভিন্ন দেশ নিজেদের ভিসা প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন ধরনের নিয়ম প্রণয়ন করেছে। নিম্নলিখিত টেব্‌লে ব্যাখ্যা করা যায়:

ভিসার ধরন এটি কি বোঝায়?
ভিসামুক্ত ভিসামুক্ত ভ্রমণ সুবিধায় আপনার ভিসা না থাকলেও কিছু দেশে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উভয় দেশের মধ্যে একই চুক্তি থাকতে হবে, অথবা যে দেশ পরিদর্শন করা হচ্ছে তারা একতরফা বিদেশী নাগরিকদের জন্য নিজস্ব সীমানা উন্মুক্ত করেছে।
ভিসা-অন-অ্যারাইভাল এছাড়াও আছে অন-অ্যারাইভাল ভিসা হিসাবে পরিচিত সুবিধা, এন্ট্রি পোর্টে পর্যটকদের জন্য উপলব্ধ করা হয়। ভিসা প্রদানের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সরকারী কর্তৃপক্ষ দ্বারা এন্ট্রি পোর্টে শুরু এবং সম্পন্ন করা হয়।
ই-ভিসা ই-ভিসা মূলত কোনও দেশের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা দ্বারা অনলাইনে জারি করা অফিসিয়াল নথি যা পর্যটকদের সেই দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়। এই নথি সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসের ইস্যু করা নিয়মিত কাগজ-ভিত্তিক ভিসার বিকল্প।
এন্ট্রি পারমিট কিছূ দেশ ভিসার পরিবর্তে পর্যটকদের এন্ট্রি পারমিট দেয়। এই এন্ট্রি পারমিট মূলত বিদেশী পর্যটকদের কোনও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বৈধভাবে সে দেশে প্রবেশ এবং থাকার অনুমোদন।

ভ্রমণ বীমা করা কি বাধ্যতামূলক?

হ্যাঁ! বিশ্বের 34টি দেশে পর্যটকদের ভ্রমণ বীমা বাধ্যতামূলক। এর অন্যতম প্রধান কারণ বিদেশে স্বাস্থ্য পরিষেবার খরচ। এছাড়াও, আপনি নিশ্চয় চাইবেন ভ্রমণের সময় উদ্ভূত অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি থেকে আপনার অর্থ সুরক্ষিত থাকুক, তাই না?

ভ্রমণ বীমা পলিসির বেশ কিছু সুবিধা আপনি উপভোগ করতে পারেন। তাদের মধ্যে কয়েকটি নিম্নরূপ:

  • জরুরী পরিস্থিতির জন্য কভারেজ(Coverage for Medical Emergencies) - আপনার ভ্রমণের সময়, কোনও পরিস্থিতিতে আপনার দুর্ঘটনাজনিত বা অসুস্থতা সংক্রান্ত  জরুরি চিকিৎসা বা সহায়তা  প্রয়োজন হতে পারে। ভ্রমণ বীমা পলিসি এই ক্ষেত্রে আপনার হাসপাতালের বিল এবং চিকিৎসার খরচ কভার করবে।

  • ট্রিপ বাতিল বা ফ্লাইট বিলম্ব(Trip Cancellation or Flight Delays) – কোনও কারণে ফ্লাইটে দেরি হওয়া, সংযুক্ত ফ্লাইট মিস করা বা সম্পূর্ণ ট্রিপ বাতিল করার মতো পরিস্থিতি ভ্রমণ বীমা নীতি অধীনে কভার করা হয়।

  • ব্যাগেজ বিলম্ব/ হারিয়ে যাওয়া(Delay/Loss of Baggage) - আপনি নিজের ছুটি শুরু করার জন্য অপেক্ষা করতে পারবেন না, কিন্তু আপনার চেক ইন লাগেজ বিলম্বিত হয়ে গেছে! এই পরিস্থিতিতে, আপনার ভ্রমণ বীমা নীতি আপনার  ব্যাগেজের দেরি হওয়া বা হারিয়ে যাওয়ার জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে পারে।

  • ওয়ালেট হারিয়ে যাওয়ার সুরক্ষা(Protection Against Loss of Wallet) - ওয়ালেট হারিয়ে যাওয়া বা চুরি যাওয়া আপনার বিদেশে ভ্রমণকালীন গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম। আপনার ভ্রমণ বীমা পলিসি এই ধরনের পরিস্থিতিতে আটকা পড়া এড়াতে  জরুরী আর্থিক নগদ প্রদান করে।

  • বর্ধিত বা পরিত্যক্ত ট্রিপের জন্য কভার(Cover for Extended or Abandoned Trip) - ধর্মঘট, দাঙ্গা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অন্যান্য বিপজ্জনক ইভেন্টের ক্ষেত্রে, আপনার ভ্রমণের সময়কাল বাধা পেতে পারে। এই জাতীয় পরিস্থিতি বজ্রপাতের মতো আকস্মিক, যার ফলে আপনাকে ভ্রমণ বন্ধ করতে বা থাকার সময় প্রসারিত করতে হতে পারে। খরচ সম্পর্কে চিন্তা করবেন না কারণ আপনার  ভ্রমণ বীমা কোনও বাতিল বা বর্ধিত ট্রিপ কভার করে

  • বাউন্সড বুকিং(Bounced Bookings) - আপনি কি কখনও আপনার সমস্ত থাকার জায়গা এবং ইভেন্ট বুকিং চূড়ান্ত করেছেন এবং সেখানে পৌঁছানোর পর জানলেন হোটেলটি ওভারবুকড হয়ে গেছে এবং আপনার বুকিং বাউন্স হয়েছে? এমন হতাশাজনক পরিস্থিতিতে, বাউন্সড বুকিং কভার সহ ভ্রমণ বীমা আপনার ভ্রমণের সময় বাঁচাতে পারে!

সুতরাং, নিজের ট্রিপ নিরাপদ রাখতে চাইলে এবং আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাইলে  একদম শুরুতেই একটি ভ্রমণ বীমা পলিসি কেনা ভালো! বাজারে অনেক পলিসি পাওয়া যায়, তাই পেমেন্ট করার আগে, সাশ্রয়ী মূল্যে সর্বোত্তম সুবিধা পাওয়ার জন্য আপনার ভ্রমণ বীমা পলিসিগুলির তুলনা করা উচিত

দ্রষ্টব্য: ভিসা প্রয়োজনীয়তা প্রতিটি দেশের ক্ষেত্রে পরিবর্তনসাপেক্ষ। অনুগ্রহ করে নিশ্চিত করুন কোনও ভ্রমণ বুকিং করার আগে আপনি নির্দিষ্ট দেশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পাসপোর্ট এবং ভিসার সমস্ত প্রয়োজনীয়তা পরীক্ষা করেছেন।

ভারতীয়দের জন্য ভিসামুক্ত দেশ সংক্রান্ত প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

ভিসামুক্ত প্রবেশ কি সব ভারতীয় পাসপোর্টধারীদের জন্য সমান?

না, ভারতীয় নাগরিকের পাসপোর্টের প্রকারের উপর নির্ভর করে ভিসামুক্ত প্রবেশ বিভিন্ন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কূটনৈতিক এবং অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের এন্ট্রির জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তা থাকতে পারে।

ভিসামুক্ত দেশ ভ্রমণের জন্য কী কাগজপত্র থাকা প্রয়োজন?

ভিসামুক্ত ভ্রমণের সময়, আপনার কাছে অবশ্যই একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে - সাধারণত আপনার প্রস্থানের তারিখের ছয় মাস পরে - এবং আপনি যে দেশে যাচ্ছেন তাদের ইস্যু করা বাধ্যতামূলক ভ্রমণ বীমা। আপনাকে পরবর্তী ভ্রমণের প্রমাণ (ভ্রমণপথ, ফ্লাইট টিকিট ইত্যাদি), ভ্যাক্সিনেশন শংসাপত্র ইত্যাদি দেখাতে হবে। কোনও দেশে প্রবেশ করার জন্য সর্বনিম্ন যোগ্যতা নির্ণায়ক নিশ্চিতভাবে পাস করতে হবে।

ভিসামুক্ত এন্ট্রি কি ভারতীয়দের জন্য গ্যারান্টিযুক্ত?

ভারতীয় নাগরিকরা বিদেশের কিছু দেশে ভিসামুক্ত ভ্রমণ করতে পারলেও, সে দেশে প্রবেশ নিশ্চিত নয় একেবারেই। এন্ট্রির জন্য ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা আপনার না থাকলে বা ইমিগ্রেশন অফিসার কোনও কারণে সন্দেহ করলে সেই দেশে আপনার প্রবেশ অস্বীকার করা হতে পারে।

ভারতীয়রা কি ভিসা ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য ভিসামুক্ত দেশে থাকতে পারবেন?

না, পর্যটকরা ভিসামুক্ত দেশে ভিসা ছাড়া কেবল  সীমিত সময়ের জন্য থাকতে পারেন। এই সময়কাল প্রতিটি দেশের ক্ষেত্রে পরিবর্তনশীল হওয়ায় ভ্রমণের আগে প্রতিটি দেশের এন্ট্রি প্রয়োজনীয়তা জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

ভারতীয়রা কি ভিসা ছাড়াই চাকরি বা পড়াশোনা করতে পারবেন?

না, ভিসামুক্ত প্রবেশ সাধারণত শুধুমাত্র পর্যটন বা স্বল্পমেয়াদের জন্য হয়। ভারতীয়রা সেই দেশে চাকরি বা পড়াশোনা করতে চাইলে তাদের যথাযথ ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।