ভারতে বাধ্যতামূলক বাইক ইন্স্যুরেন্স

আজই বাইক ইন্স্যুরেন্সের মূল্য জেনে নিন। আপনার ডিজিট পলিসি রিনিউ করুন

Third-party premium has changed from 1st June. Renew now

ভারতে বাইক ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক কেন?

প্রত্যন্ত গ্রামীণ অঞ্চল হোক বা যানজটযুক্ত মহানগরী, ভারতে টু-হুইলারের মতো সুবিধাজনক ব্যক্তিগত পরিবহণ মাধ্যমের কোনও বিকল্প নেই। কারণ, টু-হুইলার নিয়ে আপনি খুব সহজেই গ্রামাঞ্চলের সরু রাস্তা দিয়ে এবং মুম্বই, ব্যাঙ্গালোর বা দিল্লির মতো মহানগরীর যানজটে-ভরা রাস্তা দিয়ে যেতে পারেন। এছাড়াও বেশিরভাগ মানুষের কাছে টু-হুইলার অনেক বেশি খরচসাপেক্ষ। এমনকি, যাঁরা বাইক কেনার খরচ করতে পারেন না, তাঁরাও আজকাল বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে টু-হুইলার কেনার জন্য সহজেই লোন নিতে পারেন।

এই বিষয়গুলি ছাড়াও ভারতীয় মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির ক্রমবর্ধমান ক্ষমতা ও আকাঙ্ক্ষা ভারতে টু-হুইলারের জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ফলে বর্তমানে ভারতীয় রাস্তায় আগের তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক টু-হুইলার দেখা যায়।

রাস্তায় টু-হুইলারের সংখ্যা বাড়ার সাথে-সাথে সমানুপাতিক হারে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বেড়েছে। আর সেই সঙ্গে একই হারে ভারতে টু-হুইলার ইন্স্যুরেন্সের চাহিদাও বেড়েছে। কেন ও কীভাবে? জেনে নেওয়া যাক।

আপনার টু-হুইলারের ইন্স্যুরেন্স কেন করানো উচিত?

একটি নতুন টু-হুইলার বিক্রি করার সময় প্রায় প্রতিটি গাড়ির কোম্পানি বাইক ইন্স্যুরেন্স অফার করে। তবে, কিছু ছাড় পাওয়ার আশায় বেশিরভাগ মানুষ ইন্স্যুরেন্সটি বাতিল করে দেন অথবা সেটির মেয়াদ শেষ হলে আর রিনিউ করান না। সম্ভবত তাঁরা ইন্স্যুরেন্স করার খরচ বাঁচাতে চান অথবা তাঁদের ইন্স্যুরেন্স রিনিউ করানোর সময় হয় না! তবে, বাইক ইন্স্যুরেন্স করানোর প্রতি তাঁদের এই উপেক্ষার কারণ হল, তাঁরা এই প্রশ্নটির উত্তরই জানেন না - আমি বাইক ইন্স্যুরেন্স কিনবই বা কেন?

এই চিন্তাধারাকে সঠিক করার জন্য আপনার টু-হুইলারের যে-কোনও একটি ইন্স্যুরেন্স করানোর ক্ষেত্রে দু’টি প্রধান প্রেরণা থাকতে পারে: এক, ভারতীয় রাস্তায় চলা প্রতিটি টু-হুইলারের জন্য থার্ড-পার্টি ইন্স্যুরেন্স করানো ‘আইনত’ বাধ্যতামূলক। দুই, ইন্স্যুরেন্স কোনও দুর্ঘটনায় আপনাকে, আপনার গাড়িকে ও থার্ড-পার্টিকে সুরক্ষিত রাখে এবং সেই সঙ্গে অনেক খরচ বাঁচায়।

আইনত অন্তত একটি থার্ড-পার্টি ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক হলেও কম্প্রিহেন্সিভ টু-হুইলার ইন্স্যুরেন্স কেনার পরামর্শ দেওয়া হয়। একটি কম্প্রিহেন্সিভ পলিসি অতিরিক্তভাবে দুর্ঘটনা, চুরি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি থেকে আপনার নিজের গাড়িকে সুরক্ষিত রাখে। এছাড়াও, কম্প্রিহেন্সিভ ইন্স্যুরেন্স পলিসিতে থার্ড-পার্টির আঘাত বা সম্পত্তির ক্ষতিও কভার করা হয়। থার্ড-পার্টি ইন্স্যুরেন্স ও কম্প্রিহেন্সিভ বা স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের মধ্যে আপনার পক্ষে কোনটি ভালো, তা বেছে নেওয়ার জন্য নিচে এই দুটির বিস্তারিত পার্থক্য দেওয়া হয়েছে।

দেখুন: সকল অ্যাড-অন কভার-সহ থার্ড পার্টি ইন্স্যুরেন্স বা কম্প্রিহেন্সিভ ইন্স্যুরেন্সের প্রিমিয়াম জানতে বাইক ইন্স্যুরেন্স ক্যালকুলেটর ব্যবহার করুন।

ভারতে বাইক ইন্স্যুরেন্স প্ল্যান

থার্ড পার্টি কম্প্রিহেন্সিভ

দুর্ঘটনার ফলে নিজের টু-হুইলারের ক্ষয়/ক্ষতি

×

আগুন লাগার ফলে নিজের টু-হুইলারের ক্ষয়/ক্ষতি

×

প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে নিজের টু-হুইলারের ক্ষয়/ক্ষতি

×

থার্ড-পার্টি গাড়ির ক্ষতি

×

থার্ড-পার্টি সম্পত্তির ক্ষতি

×

ব্যক্তিগত দুর্ঘটনার কভার

×

থার্ড-পার্টি ব্যক্তির আঘাত/মৃত্যু

×

আপনার স্কুটার বা বাইক চুরি

×

আপনার আইডিভি (IDV) কাস্টমাইজ করা

×

অতিরিক্ত অ্যাড-অনের মাধ্যমে অতিরিক্ত সুরক্ষা

×
Get Quote Get Quote

কম্প্রিহেন্সিভ ও থার্ড পার্টি টু-হুইলার ইন্স্যুরেন্সের পার্থক্য সম্বন্ধে আরও জানুন

ডিজিট বর্তমান বাজারে উপলব্ধ অন্যতম স্বচ্ছ ও সামঞ্জস্যপূর্ণ কম্প্রিহেন্সিভ টু-হুইলার ইন্স্যুরেন্স পলিসি অফার করে। ডিজিটের কম্প্রিহেন্সিভ বাইক ইন্স্যুরেন্সে রয়েছে অত্যন্ত সহজে ক্লেম করার সুবিধা, এতে কোনও গোপন মূল্য নেই এবং রয়েছে স্বচ্ছ ইন্স্যুরেন্স প্রক্রিয়াকরণের স্বচ্ছ পদ্ধতি।

আপনি একজন দায়িত্বশীল চালক হতে পারেন, কিন্তু আপনি কখনই নিশ্চিত করতে পারেন না যে আপনার বাইক কখনই রাস্তায় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হবে না। সাবধানে গাড়ি চালানো সত্ত্বেও কোনও সতর্কীকরণ ছাড়াই যে-কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দুর্ঘটনা ছাড়াও চুরি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো ঘটনাও যে-কোনও সময় ঘটতে পারে। এই ধরনের ঘটনার জন্য আপনি দায়ী থাকুন বা না থাকুন, এগুলির জন্য আপনার বিশাল আর্থিক ক্ষতি কিন্তু নিশ্চিত। কিন্তু আপনার যদি একটি কম্প্রিহেন্সিভ টু-হুইলার ইন্স্যুরেন্স থাকে, তাহলে সেটি আপনাকে আর্থিক ক্ষতি ছাড়াও সম্ভাব্য দায়িত্ব থেকেও সুরক্ষিত রাখবে।

এছাড়াও, মোটর ভেহিকল অ্যাক্ট, 1998 অনুযায়ী ভারতে বাইক ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক এবং টু-হুইলারের ক্রেতাকে বাইক কেনার সময় বাইক ইন্স্যুরেন্স নিতেই হবে।

ডিজিটের কম্প্রিহেন্সিভ টু-হুইলার ইন্স্যুরেন্সে কী-কী কভার করা হয়?

ডিজিটের টু-হুইলার ইন্স্যুরেন্স পলিসি নিম্নলিখিত ঝুঁকিগুলি কভার করে:

প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে হওয়া ক্ষয় বা ক্ষতি - ভূমিকম্প, ঝড়, বন্যা ইত্যাদির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের জীবনে যে-কোনও হতে পারে এবং তা আমাদের প্রাণ ও সম্পত্তির বিশাল ক্ষতি করতে পারে। টু-হুইলার ইন্স্যুরেন্স পলিসি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে হওয়া সব ক্ষতির জন্য হওয়া খরচ থেকে আপনাকে সুরক্ষিত রাখে।

মানুষের সৃষ্টি করা সমস্যার জন্য ক্ষয় বা ক্ষতি - প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াও মানুষের সৃষ্টি করা সমস্যা, যেমন ডাকাতি, চুরি, দাঙ্গা বা এই ধরনের যে-কোনও দুর্ভাগজনক ঘটনার ফলেও আপনার বাইকের ক্ষতি হতে পারে।

ডিজিটের টু-হুইলার ইন্স্যুরেন্স পলিসি মানুষের সৃষ্টি করা এই ধরনের সমস্যার ফলে হওয়া আর্থিক ক্ষতি থেকে আপনাকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেয়।

দুর্ঘটনার ফলে সম্পূর্ণ বা আংশিক অক্ষমতা - দুর্ঘটনা এক মর্মান্তিক ঘটনা, যা যে-কোনও সময় কোনও সতর্কীকরণ ছাড়াই আমাদের জীবনে ঘটতে পারে। যখন কোনও চালক কোনও দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন, তখন তাঁর আংশিক বা সম্পূর্ণ অক্ষমতা হতে পারে।

আংশিক অক্ষমতার উদাহরণগুলি হল চলাফেরার ক্ষমতা চলে যাওয়া, দেহের কোনও অংশের অক্ষমতা ইত্যাদি। অপরদিকে দৃষ্টিক্ষমতা না থাকা, হাঁটায় অক্ষমতা ইত্যাদি সম্পূর্ণ অক্ষমতার উদাহরণ। টু-হুইলার ইন্স্যুরেন্স এই দরনের সব দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা কভার করে এবং আপনার চিকিৎসার খরচ দেয়।

পলিসিহোল্ডারের মৃত্যু - কোনও বড় দুর্ঘটনায় পলিসিহোল্ডার বা অন্য কোনও ব্যক্তি, যিনি সেই সময় বাইক চালাচ্ছিলেন, তাঁর মৃত্যু হতে পারে। সেক্ষেত্রে পলিসিহোল্ডার যদি পিএ কভার নিয়ে থাকেন, তাহলে বাইক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি তাঁর নমিনিদের যথেষ্ট পরিমাণে ক্ষতিপূরণ দেয়।

এগুলি গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়, যেগুলি ডিজিটের টু-হুইলার ইন্স্যুরেন্স পলিসি কভার করে। এটি সত্যি যে ভারতীয় রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ম প্রায়শই লঙ্ঘন করা হয় এবং সেই কারণে বাইক চালানোর সময় কোনও ব্যক্তি বড় ধরনের ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন। এমনকি রাস্তায় চার-চাকার গাড়ি চালানোর তুলনায় টু-হুইলার চালানোর ঝুঁকি অনেক বেশি বলে মনে করা হয়। কারণ বাইক চালানোর সময় আপনার কোনও আবরণ থাকে না, কিন্তু গাড়ির চালক গাড়ির ভিতরে বসে থাকেন। ডিজিট যেমন কম্প্রিহেন্সিভ টু-হুইলার ইন্স্যুরেন্স অফার করে, সেটি নিজের শারীরিক আঘাত, গাড়ির সম্পূর্ণ বা আংশিক ক্ষতি, চালকের সম্পূর্ণ বা আংশিক অক্ষমতার পাশাপাশি থার্ড-পার্টি লায়াবিলিটির জন্যও বিশাল পরিমাণে কভারেজ দেয়।

ভারতে বাইক ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক কেন - এই প্রশ্নের উত্তর দিসাবে আইনি অনুবর্তিতা, ঝুঁকি ও সাশ্রয়, এগুলিই যথেষ্ট। বাইক ইন্স্যুরেন্সের গুরুত্ব বোঝার পরে আপনি কী জন্য অপেক্ষা করছেন? আপনি যদি আপনার টু-হুইলারের জন্য এখনও ইন্স্যুরেন্স কভার না নিয়ে থাকেন, তাহলে এখনই নিয়ে নিন!