মেডিকেল ইমার্জেন্সির ফলে হসপিটালাইজেশনের সময় বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক এবং সেই কারণে আরও বেশি অ্যামাউন্ট ফান্ডের প্রয়োজন হয়। বিশেষত তাদের ক্ষেত্রেই এটা হয় যাদের লাইফ-রিস্ক ডিজিজ নির্ণীত হয়, যা সাম্প্রতিককালে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ভারতে বছরের পর বছর ধরে ক্রিটিক্যাল ইলনেস ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। অতিরিক্তভাবে, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) 2020 সালের একটি রিপোর্টে জানিয়েছে অদূর ভবিষ্যতে ক্রিটিক্যাল ইলনেসের কারণে মৃত্যু শুধুই বৃদ্ধি পাবে। তাই, এই ধরনের অসুস্থতা থেকে নিজের প্রিয়জনকে রক্ষা করার জন্য আমাদের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এসেছে।
তাছাড়া, ঠিক এখানেই ফিক্সড বেনিফিট হেলথ প্ল্যান বিশেষ করে সহায়ক হতে পারে।
একটি ক্রিটিক্যাল ইলনেস পলিসির ক্ষেত্রে, এই হেলথ ইনস্যুরেন্স প্ল্যান পলিসিহোল্ডারকে সাম অ্যাসিওর্ড অ্যামাউন্ট পে করবে, যদি ইনসিওর্ড ব্যক্তি প্ল্যানের অধীনে তালিকাভুক্ত কোনও জটিল রোগে আক্রান্ত হন। একটি উদাহরণের মাধ্যমে এ সম্পর্কে বিশদে বলার সুযোগ দিন:
ধরা যাক মিসেস ভার্মা 10 লাখ টাকার সাম ইনসিওর্ডে একটি ক্রিটিক্যাল ইলনেস হেলথ ইনস্যুরেন্স প্ল্যানে সাইন আপ করেছেন। পলিসি শর্তাবলীর মধ্যে, প্ল্যানের অধীনে তালিকাভুক্ত ক্রিটিক্যাল ইলনেসের মধ্যে একটি তার শরীরে নির্ণীত হয়েছে। অতএব, তার এক্সপেন্স নির্বিশেষে ক্লেম পেআউট হিসাবে তিনি লাম্পসাম 10 লাখ টাকা পাবেন। তিনি প্ল্যানের অধীনে সাম ইনসিওর্ড পাওয়ার পর, তার পলিসি মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।
উপরন্তু, একটি ফিক্সড বেনিফিট হেলথ ইনস্যুরেন্স প্ল্যান বেছে নেওয়ার সময়, আপনার নিশ্চিত করা উচিত আপনার প্ল্যানটি কার্যকরীভাবে বিভিন্ন সম্ভাব্য রোগ কভার করে। অতএব, আমরা আপনাকে এমন একটি প্ল্যান বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিই, যেখানে কিছু ন্যূনতম সাধারণ ক্রিটিক্যাল ইলনেস কভার করা হয়।
উপরন্তু, মেডিকেল কেয়ারের আকাশচুম্বী খরচ সামলানোর জন্য একটি ওয়েল-প্ল্যানড ফিনান্সিয়াল এগ্রিমেন্ট সাপোর্ট থাকা প্রয়োজন। এখানে, আপনি নিজের এক্সিসটিং হেলথ কভারে এনহ্যান্সমেন্ট হিসাবে একটি ফিক্সড-বেনিফিট প্ল্যানের কথা ভাবতে পারেন।
এর সহায়তায় হসপিটালাইজেশন এবং রিকভারির কারণে উদ্ভূত জীবিকানির্বাহে ক্ষতি বা উপার্জনে ঘাটতি জাতীয় নন-মেডিকেল এক্সপেন্সও পূরণ করে। তা ছাড়াও, জেনেটিক্স বা লাইফস্টাইল ইত্যাদি কারণে কিছু মেডিকেল কন্ডিশনে আপনার রিস্ক থাকলে এই প্ল্যান আপনার জন্য বিশেষভাবে লাভজনক।