ডিজিট ইন্স্যুরেন্সে স্যুইচ করুন

আম আদমি বীমা যোজনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

1.3 বিলিয়নের বেশি জনসংখ্যার এই দেশে, 22% শ্রমজীবী মানুষের আন্তর্জাতিক দৈনিক মজুরির মান 143 টাকার কম। 

অপ্রত্যাশিত জরুরী স্বাস্থ্য অবস্থায় অধিকাংশ শ্রমজীবী মানুষ সম্পূর্ণ অসহায় অবস্থায় পড়ে থাকে এবং তার ফলে তার পরিবারের উপার্জন ব্যয় হয়। ঠিক এই সমস্যা সমাধান করার জন্য, ভারত সরকার আম আদমি বীমা যোজনা উপস্থাপন করে।

ভাবছেন এট কী প্রকল্প এবং কীভাবে কাজ করে?

অনুগ্রহ করে আমাদের নির্দেশিকা পড়ুন।

আম আদমি বিমা যোজনা (এএবিওয়াই) (AABY) কাকে বলে?

অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক স্বার্থে ভারত সরকার 2রা অক্টোবর 2007 সালে আম আদমি বীমা যোজনা চালু করে। এই সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল শারীরিক অক্ষমতা এবং মৃত্যুজনিত সমস্যায় নিম্ন-আয়ের জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। 

 

এই কথা ভাবা হয়েছিল কারণ কিছু শ্রমজীবী গোষ্ঠী, যেমন রাস্তার বিক্রেতা, নির্মাণকর্মী, জেলে, অটো চালক, তাঁতি, চামড়া শ্রমিক ইত্যাদি, কোনও আইনের অধীনে নিবন্ধিত নয় । তাই, তারা সংগঠিত কর্মীদের কভার করে এমন সরকারি বীমা প্রকল্পগুলির সুযোগ নিতে পারেনা।

প্রধানমন্ত্রী আম আদমি বিমা যোজনার আওতায় কী অন্তর্ভুক্ত?

এখন আপনি ভাবতে পারেন এই সরকারী সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্প থেকে কী ধরনের কভারেজ পাওয়া যাবে, তাই না?

আপনার সংশয় দূর করার জন্য এখানে বৈধ পরিস্থিতি সাপেক্ষে কিছু বিশদ জানানো হয়েছে নিচের সারণীতে।

জরুরি অবস্থার ধরন ইনসিওর্ডের পরিমাণ
দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু Rs.75000
স্বাভাবিক মৃত্যু Rs.3000
দুর্ঘটনাজনিত আংশিক অক্ষমতা Rs.37500
দুর্ঘটনাজনিত স্থায়ী সম্পূর্ণ অক্ষমতা Rs.75000

উপরোক্ত সব বেনিফিট ছাড়াও, কোনও ইনসিওর্ড ব্যক্তি তার সন্তানদের জন্য বিনামূল্যে একটি অতিরিক্ত স্ক‌লারশিপ বেনিফিটও পেতে পারেন, যে কোনও ঘটনার সাপেক্ষে। আম আদমি বীমা যোজনা প্রকল্পের অধীনে এই কভারেজে প্রতি মাসে শিশু প্রতি 100 টাকা মাসিক প্রাপ্য। মনে রাখবেন এই সুবিধা শুধুমাত্র 2টি শিশু পর্যন্ত প্রযোজ্য, এবং তাদের দুজনকেই 9 থেকে 12 শ্রেণীতে পড়তে হবে।

এএবিওয়াই (AABY) প্রকল্পের অধীনে কী কী বর্জনীয়

মানুষের মনে একটি সাধারণ ভুল ধারণা থাকে হেলথ ইন্সুরেন্স প্রকল্প হওয়ার কারণে এটি সব ধরনের চিকিৎসা খরচ বহন করতে বাধ্য। কিন্তু, অন্যান্য সমস্ত চিকিৎসা বীমা পলিসির মতো, আম আদমি বীমা যোজনায়ও নির্দিষ্ট কিছু বর্জনযোগ্য বিষয় আছে।

এই প্রোগ্রামের আওতায় পড়ে না এমন কিছু শর্ত/ পরিস্থিতির তালিকা নিচে দেওয়া হল।

  • হাসপাতালে ভর্তি খরচ
  • গর্ভাবস্থা এবং প্রসব
  • নেশার কারণে মৃত্যু বা অক্ষমতা
  • জৈবিক, রাসায়নিক বা তেজস্ক্রিয় অস্ত্র দ্বারা সৃষ্ট আঘাত
  • মানসিক অসুস্থতা
  • এক্সট্রিম স্পোর্ট‌সে অংশগ্রহণজনিত আঘাত
  • আত্মহত্যা বা নিজের প্রতি ক্ষতি
  • অপরাধমূলক কার্যকলাপের কারণে মৃত্যু বা অক্ষমতা
  • যুদ্ধ বা সামরিক পরিস্থিতিতে আঘাত

উপরের তালিকা থেকে, কীভাবে আপনার পরিবার এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হতে পারে তার একটি পরিষ্কার ধারণা পেতে পারেন।

আম আদমী বীমা যোজনা (এএবিওয়াই) (AABY) প্রকল্পের বৈশিষ্ট্য

পলিসি অন্তর্ভুক্তি এবং বর্জন ছাড়াও, এখানে এই বীমা প্রকল্পের আরও কিছু মূল বৈশিষ্ট্যের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে।

  • এএবিওয়াই প্রকল্পের প্রাথমিক লক্ষ্য যে সব মানুষের শহুরে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার উপায় নেই, তাদের সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করা।
  • এই পলিসিতে একটি নির্দিষ্ট বীমা পরিমাণ অন্তর্ভুক্ত এবং ঘটনার আকস্মিকতা সাপেক্ষে পরিবর্তিত হয়।
  • একটি ক্লেমের উপর এই সম্পূর্ণ কভারেজ পরিমাণ একবারে প্রদান করা হয়।
  • পরিবারপ্রতি শুধুমাত্র একজন সদস্যের জন্য আম আদমি বীমা যোজনা প্রযোজ্য। অর্থাৎ, পরিবারের অন্য কোনও সদস্য ইতিমধ্যে এই সুবিধা নিয়ে থাকলে আপনি উল্লিখিত বেনিফিট পেতে পারবেন না।
  • আগ্রহী ব্যক্তিরা শুধুমাত্র ভারতের জীবন বীমা কর্পোরেশনের (এলআইসি) মাধ্যমে এই প্রকল্প কিনতে পারেন কারণ বর্তমানে একমাত্র এই বীমা কোম্পানিই প্রকল্পটি অফার করছে।

এতক্ষনে আপনি প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ সব বৈশিষ্ট্য জেনে গেছেন, এবার আসুন বেনিফিট কি আছে দেখা যাক।

আম আদমি বীমা যোজনার সুবিধা (এএবিওয়াই) (AABY)

এখানে বীমা প্রকল্পের কিছু মূল সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

  • ভর্তুকিযুক্ত এবং সাশ্রয়ী মূল্যের প্রিমিয়াম - অন্যান্য বীমা পলিসির তুলনায় এই প্রকল্পের প্রিমিয়াম মূল্য অত্যন্ত সাশ্রয়ী, যার 50% সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় দেওয়া হয়। আমরা প্রিমিয়াম বিভাগের এই দিকটি বিশদভাবে আলোচনা করেছি।
  • তাৎক্ষণিক সহায়তা - প্রকল্প সদস্যদের একটি ডিজিটাল ডাটাবেস প্রয়োজনানুসারে তাৎক্ষণিক তথ্যের দ্রুত আদান-প্রদানে সাহায্য করে। পলিসিহোল্ডার সহজেই কোনও সমাধানের জন্য নিকটতম এলআইসি শাখায় যোগাযোগ করতে পারেন।
  • ঝামেলা বিহীন তালিকাভুক্তি: আবেদন এবং তালিকাভুক্তির সময় অতিরিক্ত ডকুমেন্টেশন জড়িত নয়।
  • সহজ ক্লেম প্রক্রিয়াকরণ - তালিকাভুক্তি প্রক্রিয়ার মতোই, ক্লেম করার প্রক্রিয়াও এএবিওয়াই কার্ডের মাধ্যমে সহজ করা হয়।

তবে, মনে রাখবেন আপনি আয়, বয়স এবং পেশার নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ করলে তবেই আপনি এইসব বেনিফিট পেতে পারেন।

কোন কোন পেশা আম আদমি বীমা যোজনার আওতায় পড়ে?

আগে যেমন বলা হয়েছে, এই প্রকল্পটি প্রাথমিকভাবে নিম্ন-আয়ভুক্ত গোষ্ঠীর উদ্দেশ্যে প্রস্তুত। 

তা হলেও, আপনি সুনির্দিষ্ট কিছু খুঁজছেনচ আমরা বুঝতে পারছি। আম আদমি বীমা যোজনা প্রকল্পে কাদের সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করা হচ্ছে জানতে চাইলে, নিচের তালিকা দেখুন।

  • জাতীয় স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পের আওতায় যে সব অসংগঠিত শ্রমিকদের কভার করা হয়

  • জেলে

  • আতশবাজি শ্রমিক

  • কাগজ থেকে প্রস্তুত পণ্য নির্মাতা

  • কৃষিবিদ

  • ট্রান্সপোর্ট ড্রাইভার সমিতি

  • অঙ্গনওয়াড়ি শিক্ষক

  • কাঠের পণ্য প্রস্তুতকারক

  • ট্রান্সপোর্ট কর্মচারী

  • সাফাই কর্মচারী 

  • অটোচালক বা রিকশাচালক

  • বিদেশে কর্মরত ভারতীয় শ্রমিক

  • মাটির খেলনা নির্মাতা 

  • বিড়ি শ্রমিক

  • স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত মহিলা

  • ইঁট ভাঁটা শ্রমিক

  • বন কর্মী

  • হামাল

  • কোতোয়াল

  • লেডি টেইলার

  • ছুতার

  • হস্তশিল্প কারিগর

  • শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী স্ব-নিযুক্ত ব্যক্তি 

  • পাহাড়ি এলাকার মহিলা

  • সেবার সঙ্গে যুক্ত পাপড় কর্মী

  • মোমবাতি নির্মাতা

  • ভেড়া পালক

  • হস্তচালিত তাঁতি

  • লবণ চাষি

  • টডি ট্যাপার 

  • তেন্ডু পাতা সংগ্রাহক

  • মুচি

  • চামড়া ও ট্যানারি শ্রমিক

  • কয়লা পণ্য এবং রাবার মুদ্রণে নিযুক্ত ব্যক্তি 

  • কলাবাগান কর্মী

  • রেশম চাষী

  • পাওয়ারলুম শ্রমিক

  • নারকেল প্রক্রিয়াকরণকারী 

  • প্রাথমিক দুধ উৎপাদনকারী

  • বস্ত্রশিল্পের কর্মী

  • নির্মাণ শ্রমিক

  • চামড়াজাত পণ্য নির্মাতা

উপরোক্ত যে কোনও পেশায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পাশাপাশি, এই বীমা প্রকল্পের যোগ্যতা অর্জনের জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট যোগ্যতার মানদণ্ডও পূরণ করতে হবে।

যোগ্যতার মাপকাঠি

সফল আবেদন করার শর্তাবলী দেখুন।

  • সম্ভাব্য ইনসিওর্ড সদস্যের বয়স 18-59 বছরের মধ্যে হতে হবে।
  • আবেদনকারীকে অবশ্যই দারিদ্র্য সীমার নিচের (বিপিএল) পরিবার, গ্রামীণ ভূমিহীন পরিবার (আরএলএইচ) হতে হবে, অথবা উপরে উল্লিখিত যে কোনও পেশাগত গোষ্ঠীতে নিযুক্ত হতে হবে।
  • আবেদনকারী ব্যক্তিকে অবশ্যই পরিবারের প্রধান হতে হবে, একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য হোক বা না হোক। 

এই প্রকল্পের বিশদ সম্পর্কে আপনি ও আপনার পরিবার সম্পূর্ণ অপরিচিত হলে, এখানে প্রথমবার আবেদন করার জন্য একটি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।

আম আদমি বীমা যোজনার জন্য কীভাবে আবেদন করবেন?

অনলাইনে আম আদমি বীমা যোজনার আবেদন করার জন্য প্রদত্ত পদক্ষেপ অনুসরণ করুন।

স্টেপ 1: লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার (এলআইসি) অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান। 

স্টেপ 2: হোমপেজে "এলআইসি আম আদমি বীমা যোজনা অনলাইনে আবেদন করুন" নির্বাচন করুন।

স্টেপ 3: পরবর্তী স্ক্রীনে, সঠিক বিশদ সহ আবেদনপত্র পূরণ করুন।

স্টেপ 4: সমস্ত প্রয়োজনীয় নথির স্ক্যান কপি আপলোড করুন এবং "জমা দিন" ক্লিক করুন। 

ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করতে না পারা ব্যক্তিরা অফলাইনেও এএবিওয়াই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে পারেন। তার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ।

স্টেপ 1: আবেদনপত্র পাওয়ার জন্য আপনার নিকটস্থ এনআইসি নোডাল এজেন্সিতে যান।

স্টেপ 2: অনলাইন প্রক্রিয়ার মতোই, এখানেও সঠিক তথ্য সহ আবেদনপত্র পূরণ করুন।

স্টেপ 3: আবেদনপত্রের সাথে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথির কপি সংযুক্ত করুন।

স্টেপ 4: আপনার নিকটতম এলআইসি অফিসে যান এবং পূর্বে উল্লিখিত তথ্যাদি জমা দিন। 

ব্যস, কাজ শেষ!

এরপরেও, আপনার এই প্রকল্প সংকান্ত আরও তথ্য জানার থাকলে, 9222492224 বা 56767877 নম্বরে নিম্নোক্ত SMS পাঠান:

"LICHELP <পলিসি নম্বর>।" 

এএবিওয়াই আবেদন করার সময় বাধ্যতামূলক কী কী নথি প্রয়োজন?

প্রথমবার আবেদন করার সময় আবেদনকারীর পক্ষে প্রয়োজনীয় সমস্ত নথির ট্র্যাক রাখা কঠিন হতে পারে। আপনার সমস্যা সমাধান করার জন্য, নীচে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথির তালিকা দেওয়া হয়েছে আবেদন করার আগে অবশ্যই হাতে প্রস্তুত রাখতে হবে। 

  • রেশন কার্ড
  • আধার কার্ড
  • ভোটার আইডি কার্ড
  • আয়ের শংসাপত্র
  • নমিনির আবেদনপত্র

যেকোনও অতিরিক্ত নথির প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা জানুন এবং আপনার আবেদনপত্রের সাথে অবশ্যই সেটি প্রদান করুন।

আপনার সফল আবেদন পদ্ধতি সমাধা হলে, আপনি নিশ্চয় প্রিমিয়াম পরিমান নিয়ে চিন্তিত হতে পারেন। আমরা সেটাও কভার করেছি!

আম আদমি বীমা যোজনার প্রিমিয়াম কত?

অন্য যেকোনও বীমা পরিকল্পনার মতো, এএবিওয়াই প্রকল্প প্রিমিয়াম সহ উপলব্ধ, যদিও নামমাত্র। হ্যাঁ, স্বল্প-আয় গোষ্ঠীভুক্ত কর্মীদের জীবন সহজ করে তোলাই এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য ছিল বলে শুধুমাত্র 30,000 টাকার বীমা কভারেজের বার্ষিক প্রিমিয়াম 200 টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে৷ তার ওপর, এই পরিমাণের 50% ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার ভর্তুকি প্রদান করেছে।

উপরন্তু, নিম্নলিখিত বিভাগে অন্তর্ভু‌ক্ত জনগোষ্ঠী পরবর্তী সুবিধা উপভোগ করতে পারে।

  • গ্রামীণ ভূমিহীন পরিবার (আরএলএইচ): অবশিষ্ট 50% প্রিমিয়াম ইউটি/ রাজ্য সরকার প্রদান করে।
  • স্বীকৃত পেশাদার গোষ্ঠী: বাকি 50% প্রিমিয়াম নোডাল এজেন্সি বা ইউটি/ রাজ্য সরকার প্রদান করে।

অতএব, আপনি উপরে উল্লিখিত কোনও একটি গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হলে, শূন্য-প্রিমিয়াম দিয়ে আম আদমি বীমা যোজনার অধীনে সমগ্র প্রকল্পের সকল সুবিধা ক্লেম করতে পারেন!

কিভাবে এএবিওয়াই প্রকল্পের অধীনে ক্লেম উত্থাপন করতে হয়?

কি জাতীয় আকস্মিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে তার উপর নির্ভর করে, গ্রাহকের ক্লেম প্রক্রিয়া আলাদা হতে পারে।

এখানে, আপনার ক্লেম উত্থাপনের সম্ভাব্য পরিস্থিতির একটি তালিকা আমরা করেছি যার অধীনে আপনি ক্লেম করতে পারেন এবং তাদের নিজ নিজ পদ্ধতি অনুসরণ করে।

1) দুর্ঘটনা বা প্রাকৃতিক কারণে মৃত্যু

বীমাকৃত ব্যক্তির মৃত্যুর পর, একজন নমিনি নিম্নলিখিত স্টেপে মৃত্যুর জন্য ক্লেম করতে পারেন।

  • স্টেপ 1: আম আদমি বীমা যোজনা মৃত্যু ক্লেম ফর্ম পূরণ করুন।

  • স্টেপ 2: সংশ্লিষ্ট নোডাল এজেন্সির কর্মকর্তার কাছে পলিসিধারকের আসল মৃত্যু শংসাপত্র এবং একটি সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিন।

  • স্টেপ 3: যাচাই করার পরে, কর্মকর্তা প্রদত্ত নথি এবং মৃত পলিসিধারীর যোগ্যতা শংসাপত্র সহ ক্লেম ফর্ম জমা দেবেন।

উল্লেখ করা দরকার, দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর ক্ষেত্রে, নমিনিকে পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট, এফআইআর, পুলিশ তদন্ত রিপোর্ট এবং চূড়ান্ত পুলিশ রিপোর্টের কপি জমা দিতে হবে।

2) আংশিক বা স্থায়ী অক্ষমতা

কোনও অক্ষমতা ক্লেম করার জন্য, ইনসিওর্ডকে আম আদমি বীমা যোজনা ক্লেম ফর্ম ছাড়াও নিম্নলিখিত সব নথি জমা দিতে হবে।

  • দুর্ঘটনার প্রমাণসহ নথি যেমন পুলিশ এফআইআর।

  • বিশদ বিবরণ এবং অক্ষমতার ধরন উল্লেখ করা মেডিকেল শংসাপত্র। কোনও নিবন্ধিত সরকারী অর্থোপেডিক বা সরকারী সিভিল সার্জন দ্বারা ইস্যু করা হওয়া দরকার।

  • স্কলারশিপ বেনিফিট

আপনার সন্তান এএবিওয়াই প্রকল্পের অধীনে স্কলারশিপ বেনিফিট পাওয়ার যোগ্য হলে আপনাকে আম আদমি বীমা যোজনা বৃত্তির অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং আপনার নোডাল এজেন্সিতে জমা দিতে হবে।

আপনার সন্তান যোগ্যতা সীমা অতিক্রম করেছে কিনা ক্রস-চেক করার জন্য নোডাল এজেন্সির এই পদ্ধতিটি 6 মাস অন্তর অনুসরণ করা প্রয়োজন। তারপরে এজেন্সি চিহ্নিত ছাত্রদের তালিকা এলআইসি-এর পেনশন এবং গ্রুপ স্কিম ইউনিটে পাঠাবে।

এই তালিকায় প্রত্যেক বেনিফিসিয়ারির নামের পাশে নিম্নলিখিত বিশদ থাকতে হবে।

  • ছাত্রের নাম

  • ক্লাস

  • স্কুলের নাম

  • ইনসিওর্ড ব্যক্তির নাম

  • আম আদমি বীমা যোজনা পলিসি নম্বর

  • এনইএফটি নম্বর

  • ইনসিওর্ড সদস্যের সদস্য সংখ্যা।

যোগ্য শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ তালিকা পাওয়ার পর, এলআইসি এনইএফটি দ্বারা বৃত্তির পরিমাণ পলিসিধারকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করবে।

এই সম্পূর্ণ পদ্ধতির বিভিন্ন জটিলতার কারণে, আগ্রহী ব্যক্তিদের বিভ্রান্তি এবং অনেক প্রশ্ন থাকা স্বাভাবিক।

আর তার জন্য, আপনি এলআইসি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে উপলব্ধ আম আদমি বীমা যোজনা হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও আপনি নিজের নিকটস্থ এলআইসি শাখার যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার প্রশ্ন পাঠাতে পারেন।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

কোন পরিস্থিতিতে আমি আংশিক অক্ষমতা এবং স্থায়ী সম্পূর্ণ অক্ষমতার জন্য কভারেজ পেতে পারি?

আংশিক অক্ষমতা বলতে বোঝায় যে অবস্থায় কোনও ব্যক্তি তার জীবিকা নির্বাহ করতে সক্ষম যেমন একটি চোখ বা অঙ্গ হানি। স্থায়ী মোট অক্ষমতা বলতে উভয় চোখ, উভয় অঙ্গ বা একটি চোখ এবং একটি অঙ্গহানি বোঝায়। অক্ষমতার ধরনের উপর নির্ভর করে, ইনসিওর্ড ব্যক্তিরা সেই অনুযায়ী বীমা পরিমাণ পেতে পারেন।

এএবিওয়াই আবেদন করার সময় কি আমাকে নমিনি নিয়োগ করতে হবে?

হ্যাঁ, এই বীমা প্রকল্পে আবেদন করার সময় একজন নমিনি নিয়োগ করা বাধ্যতামূলক যাতে বীমাকৃত ব্যক্তির মৃত্যু হলে ক্লেম করা যেতে পারে। এজন্য, জমা দেওয়ার আগে আপনাকে নিজের আবেদনপত্রের সাথে প্রদত্ত নমিনেশন ফর্ম যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে। এই ফর্মটি নোডাল এজেন্সির কাছে থাকবে যতক্ষণ না কোনও মৃত্যুজনিত ক্লেম হলে তারা এটি এলআইসি'র কাছে হস্তান্তর করে।

সামাজিক সুরক্ষা তহবিলের ভূমিকা কী?

মূল লক্ষ্য অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া কর্মীদের জন্য এএবিওয়াই বীমা পরিকল্পনাগুলি সাশ্রয়ী করে তোলা। এই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার প্রিমিয়ামের অর্ধেক পরিমাণ ভর্তুকি দেওয়ার জন্য সামাজিক সুরক্ষা তহবিল গঠন করেছে।

আমার পরিবারের পূর্ববর্তী পলিসিধারক মারা যাওয়ার পরে আমি কি আবার আম 

আদমি বীমা যোজনার অধীনে আবেদন করতে পারি?

না, আম আদমি বীমা যোজনায় শুধুমাত্র পরিবার প্রতি একটি আবেদন বৈধ। আপনার পরিবারের পলিসিধারকের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে আপনি মৃত্যু ক্লেম দায়ের করে বিদ্যমান কভারেজ থেকে উপকৃত হতে পারেন। কিন্তু, দ্বিতীয়বার এই স্কিমের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।